সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দল গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে নিয়েই বড় হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু। সেই সাথে আন্তরিক ভাবে মন থেকে দলের কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার ইচ্ছেটাও ছিলো তার মধ্যে। তার শৈশব থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই নিয়ে কথা হয় দৈনিক সংবাদচর্চার সাথে।
সংবাদচর্চা: আপনার জন্ম ও পরিবার সর্ম্পকে কিছু বলেন?
আনিসুর রহমান দিপু: আমার জন্ম হয় ১৯৬৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম জেলায়। আমার পিতার নাম মরহুম আবিদুর রহমান খান (ভাষা সৈনিক) ও মাতা সহিদার রহমান। পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে আমি হলাম দ্বিতীয়। আমার দাদার বাড়ি ছিল চাঁদপুর ফকিরগঞ্জে। সেখানে তিনবার বেড়াতে গিয়েছিলাম আমি। ১৯৯৫ সালে ১৬ জুন পারিবারিকভাবে সুবর্ণা রহমানের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমার তিন সন্তান আছে। কাশফিয়া মেহজাবিন অর্পিতা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি তে বিবিএ অনার্স পড়ছে, আর এক ছেলে আরিফুর রহমান খান এলএলবি তে পড়ছে এবং ছোট ছেলে আরমান রহমান প্রথম শ্রেণীতে পড়ছে।
সংবাদচর্চা: আপনার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে কিছু বলেন?
আনিসুর রহমান দিপু: রাজনীতিতে আমার আসা হয় পারিবারিক ভাবেই। আমার বাবা ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। আমার এক চাচা ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডক্টর সোলায়মান খান। যিনি ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। আমার আরও এক চাচা হলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হাশেম খান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং চিত্রশিল্পী। কৈশোর কাল থেকেই আমার মধ্যেই রাজনীতির বিষয়টার জন্ম হয়। স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজ জীবনে প্রবেশ এর পরপরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সরাসরি আওয়ামী দলে জড়িয়ে যাই। এভাবেই আমার রাজনীতিতে আসার সূচনা হয়।
সংবাদচর্চা: আপনার কর্মজীবন সম্পর্কে কিছু বলেন?
আনিসুর রহমান দিপু: আমার ১৯৮৯ সালে সনদ হয়েছিলো। কিন্তু কর্মজীবন তখন শুরু হয়নি। কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে।
সংবাদচর্চা: আপনার রাজনৈতিক জীবনে কখনো কী প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন?
আনিসুর রহমান দিপু: বিভিন্ন মিছিল, স্লোগান ও প্রতিবাদ করার কারণে আমাকে ১৯৮৯ সাল থেকে দুই বার কারাবরণ করতে হয়েছিলো। ২০০১ সালে আমার নামে মামলা করা হয়েছিলো।
সংবাদচর্চা: ছুটির দিনে কী করতে ভালোবাসেন?
আনিসুর রহমার দিপু: আমি শতভাগ বাঙালিয়ান খাবার খেতে ভালোবাসি। ছুটির দিনে তিন ঘন্টা বসে বসে ছবি দেখার ধৈর্য্য আমার নেই। তবে, ববিতা ও তারানা হালিম আমার খুবই প্রিয় অভিনেত্রী। তাদের ছবি হলে সেটা ভিন্ন কথা। এছাড়াও ছুটির দিনে আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে থাকি। শিল্প একাডেমি, কফি হাউসে আড্ডা দেই। তবে শুক্র ও শনিবার আড্ডা দেই বোস কেবিনে।
সংবাদচর্চা: একজন আইনজীবি হিসেবে রাষ্ট্রে কোন বিচার প্রাপ্তিকে বড় করে দেখেন?
আনিসুর রহমার দিপু: বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার পাওয়া ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার পাওয়াকে আমি সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখি। আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ওই বিচার প্রাপ্তিকেই আমার সফলতা অর্জন বলে মনে করি। এছাড়া বাকি যুদ্ধপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা কামনা করি।
সংবাদচর্চা: আপনার ইচ্ছে কী?
আনিসুর রহমার দিপু: আমার ইচ্ছে আওয়ামী লীগ দল গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবো এবং আন্তরিক ভাবে মন থেকে দলের কর্মকান্ডে নিজেকে সবসময় সম্পৃক্ত রাখবো।
সংবাদচর্চা: প্রতিদিন সবচেয়ে বেশী কোন কাজটা করতে হয় আপনাকে?
আনিসুর রহমার দিপু: আমি সব সময় চেষ্টা করি প্রতিদিন ফজর নামাজ পড়তে। ছেলে মেয়ের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে ঢাকায় থাকতে হয়। পেশাগত দিক থেকে আমি নারায়ণগঞ্জ কোর্টে সময় দিয়ে থাকি আর অর্ধেকটা ঢাকায়।